ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: রুট পারমিটবিহীন বাসের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি), বিআরটিএ ও ডিএমপি। অভিযানে রুট পারমিটবিহীন ৩টি বাস জব্দ এবং সেগুলোকে দক্ষিণ সিটির মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে ডাম্পিং করা হয়েছে।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রমনার ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ সংলগ্ন এলাকায়, শাহবাগ ও মাতুয়াইলের পুনম সিনেমা হলের বিপরীতে মাতুয়াইল মেডিকেল সংলগ্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খান ও বিআরটিএ এর আদালত-৫ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম এই যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে সময় ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের ঢাকা মে. ব. ১৩-০৩০৯, রাফসান পরিবহনের ঢাকা মে. জ ১৪-০১০৮ এবং অনাবিল পরিবহনের ঢাকা মে. ব. ১৫-৮৭৬৯ গাড়িসমূহ জব্দ করে দক্ষিণ সিটির কেন্দ্রীয় মাতুয়াইল ভাগাড়ে ডাম্পিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। এছাড়াও রুট পারমিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, রুট ভায়োলেশন, সিট সংখ্যা বেশি থাকায় অভিযানে বসুমতি, শিকড়, শুভযাত্রা, ট্রান্স সিলভা, আল বারাকা, দিশারী, মেঘলা, বাহন, শৌমিতা ও সাভার পরিবহনের ১০টি বাসের বিরুদ্ধে ১০ মামলায় ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে আজ সবুজবাগ থানার আওতাধীন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বৌদ্ধ মন্দির এলাকায় ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ব্যাটারিচালিত ৯টি অবৈধ রিকশা জব্দ করা হয়। পরে সেসব রিকশাও মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এছাড়া দক্ষিণ সিটির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান আজ ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে ধানমন্ডি সোসাইটি কর্তৃক ফুটপাত ও মূল রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া এবং রাত ১২ টার পর বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দিতে ব্যবহার হওয়া সকল প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হয়। পরে ডিএসসিসি সম্পত্তি কর্মকর্তা নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত নিউ মার্কেট (মেইন), নিউ সুপার মার্কেট, বনলতা মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট (উত্তর) ও চন্দ্রিমা মার্কেটে মাইকিং করে ফুটপাত ও প্যাসেজে কোন প্রকার দোকান না বসানোর জন্য মাইকিং করে সতর্ক করেন।
দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খান বলেন, রুট পারমিটবিহীন বাসের বিরুদ্ধে আজকের যৌথ অভিযানে ৩টি বাস জব্দ ও ডাম্পিং করা হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ব্যত্যয় হওয়ায় ১০টি বাসের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দায়ের ও ৩৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়েছে। এই অভিযান চলমান থাকবে।