ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: অতিরিক্ত বাস ভাড়া বন্ধ, ওয়েবিলের নামে যাত্রীদের পকেট কাটা রোধ ও নতুন ভাড়া যথাযথ ভাবে কার্যকর করতে রোববার সকাল থেকে ঢাকার সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন সাত ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগে শনিবার রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (বিআরটিএ) ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সড়ক সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আপনারা কখনোই নায্য ভাড়া কার্যকর করতে পারেন না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ভাড়া বাড়ানোর পরই কিন্তু মনিটরিং শুরু হয়। গতবারও ভাড়া বাড়ানোর পর বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটরা রাস্তায় ছিলেন।
এ সময় বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মাদ মজুমদার দাবি করেন, অতিরিক্ত ভাড়া রোধে তাদের সাত জন ম্যাজিস্ট্রেট সব সময় রাস্তায় থাকেন। তারা সপ্তাহের ছয় দিন সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কাজ করছেন।
ওয়েবিলকে অবৈধ জিনিস আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটরা এ ধরনের অনিয়ম দেখতে পেলে তাদের আইনের আওতায় আনেন। জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করবো, তাদের যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছেন, তারা যেন ভাড়া মনিটর করেন। যাতে কেউ বাড়তি ভাড়া আদায় করতে না পারেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমাদের সব মিলিয়ে ব্যয় ৭০ শতাংশ বাড়লেও জনগণের কথা মাথায় নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। কেউ যদি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নেবে। মালিক সমিতিও এ বিষয়ে কঠোর আছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।