জ্বালানি তেলের বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও ভাড়া সমন্বয়ের দাবিতে রাজশাহীতে কর্মবিরতি পালন করছে পরিবহন শ্রমিকরা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার ভোর থেকে এ কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। ভোর থেকে কোনো রুটে ছেড়ে যায়নি বাস, ট্রাক, ট্যাঙ্কলরি ও কাভার্ডভ্যান।
শুক্রবার সকালে নগরীর শিরোইল, ভদ্রা রেলগেট ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীরা বিভিন্ন উপায়ে অটোরিকশা, থ্রি হুইলার ও হিউম্যান হলারে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এজন্য তাদের গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। তবে খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন চাকরি প্রার্থীরা।
রাজশাহী রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চাপ বেড়েছে ট্রেনেও। এদিন সকাল থেকে যেসব ট্রেন ছেড়ে গেছে সবগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় দেখা গেছে। টিকিট না কেটে যাচ্ছেন গন্তব্যে।
রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, তেলের দাম বাড়ানো হলেও ভাড়ার বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি। যদি বেশি ভাড়া নিতে চাইলে যাত্রীদের আমাদের ঝামেলা হবে। তাই বাধ্য হয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ভাড়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসার পর রাস্তায় যানবাহন নামানো হবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বিপ্লব জানান, হঠাৎ করেই তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বেড়েছে। যা খুবই অস্বাভাবিক। এ অবস্থায় আমাদের বর্তমান ভাড়ার সঙ্গে তেলের দামের কোনো সমন্বয় হচ্ছে না। ভাড়া না বাড়ালে পরিবহন মালিকদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
বিপ্লব বলেন, তেলের দামের সঙ্গে ভাড়ার সমন্বয় দাবিতে শুক্রবার থেকে রাজশাহী বিভাগের সব রুটে বাস, ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। মালিক-শ্রমিক মিলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভাড়া সমন্বয় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য যাত্রী সাধারণের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন এই পরিবহন নেতা।