ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: লঞ্চ ও ফেরিতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ও বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও নৌপরিবহণ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সমন্বয় করবে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিএর হটলাইন নম্বর ১৬১১৩ সক্রিয় থাকবে। ওই নাম্বারে যেকোনো অভিযোগ জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে গত ৩০ মার্চ নৌপথের ঈদযাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, আগামী ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পঁচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য কোনো পণ্যবাহী গাড়ি ফেরিতে পার হতে পারবে না। আগামী ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দিনরাত সার্বক্ষণিক সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চে ঈদের আগে ৫ দিন মালামাল ও মোটরসাইকেল পরিবহণ বন্ধ থাকবে। ঈদের পরে ৫ দিন অন্যান্য নদীবন্দর থেকে ঢাকা সদরঘাটে আসা নৌযানে মালামাল ও মোটরসাইকেল পরিবহণ বন্ধ থাকবে। লঞ্চ ও ফেরির সব স্টাফকে নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরে ডিউটি করতে হবে। লঞ্চে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি রাখতে হবে এবং সেগুলো যাত্রীদের নাগালের মধ্যে রাখতে হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, সুষ্ঠু ও নিরাপদ ঈদযাত্রার স্বার্থে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় আটটি ভিজিলেন্স টিম গঠন করেছে। ১৯-২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভিজিলেন্স টিম সংশ্লিষ্ট নৌবন্দরে কাজ করবে।
সভায় বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এসএম ফেরদৌস আলম, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
আরইউ