বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার প্রেসিডেন্ট মাহবুব উদ্দিন আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, কঠোর বিধিনিষেধে লঞ্চ বন্ধ থাকায় অধিকাংশ মালিকের বাজার করার টাকা নেই। লঞ্চ মালিকরা শ্রমিকদের বেতন-বোনাসে দেয়ার জন্য ৪০ কোটি টাকা প্রণোদনাও চেয়েছেন এবং যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলে সরকারের অনুমতি চেয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহামারির কারণে হাজার হাজার মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইন ও হাসপাতালে দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে কাতরাচ্ছে। আমরা পরিবার-পরিজন ও কোটি কোটি টাকার সম্পদ বিভিন্ন নদী বন্দরে অলস বসিয়ে রেখে নীরবে কাতরাচ্ছি। বাসায় আমাদের অধিকাংশ লঞ্চ মালিকের বাজার করার টাকা নেই, বাচ্চাদের টিউশন ফি দিতে পারছে না। শ্রমিকদের ছয় মাসের বেতন ও বোনাস দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাংক ঋণ ও ব্যাংকঋণের সুদ পরিশোধ করতে পারছি না।
‘সাধারণ মানুষ যেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে গন্তব্য স্থলে যেতে পারতেন সেখানে বিভিন্ন যানবাহনে ২-৩ হাজার টাকা দিয়ে ভেঙে ভেঙে অনেক ভোগান্তি ও বিড়ম্বনার শিকার হয়ে বাড়ি যেতে হয়েছে’, জানান সংস্থার প্রেসিডেন্ট মাহবুব উদ্দিন আহমদ।