আজ থেকে শিথিল করা হয়েছে কঠোর লকডাউন। আর প্রথম দিনেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সাত শতাধিক যানবাহনকে ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গিয়েছে। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে সব দিক থেকেই।
ঘাট কর্তৃপক্ষ বলেন, পদ্মায় তীব্র স্রোত, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ও ফেরি স্বল্পতার ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৩০০ যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে।
একজন যাত্রী জনান, ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের সময় গ্রামের বাড়ি গেলেও দীর্ঘ লকডাউনে অফিস বন্ধ থাকায় ঢাকায় ফেরেননি। অফিস খোলা থাকায় তাকে ঢাকা ফিরতে হচ্ছে।
রাতে রওনা দিয়ে ঘাট এলাকায় এসেছি। তবে এখনো ফেরিতে উঠতে পারিনি। মনে হচ্ছে, আরও এক-দেড় ঘণ্টা লাগবে। প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা এভাবে যানজটে আটকে আছি, বলেন আরও একজন যাত্রী।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। ফোর লেন রাস্তায় যে ৯টি অবৈধ প্রবেশপথ ছিল সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গাড়ি সিরিয়ালে ফেরিতে উঠবে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।