ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: স্বপ্নের পদ্মা সেতুর স্বাগতিক জেলা হিসেবে সবচেয়ে সুবিধাভোগী হওয়ার কথা শরীয়তপুরবাসীর। কিন্তু সেতুর সংযোগ সড়ক থেকে শরীয়তপুর জেলা শহরে প্রবেশের রাস্তা সরু ও ভাঙা। ফলে এ রুটের যাত্রীরা যে সুবিধা পাওয়ার কথা, তা পাচ্ছেন না।
সেতু চালু হওয়ায় শরীয়তপুর-ঢাকা রুটে অন্তত শতাধিক বিলাসবহুল বাস চালু করেছে বিভিন্ন পরিবহন। কিন্তু এ সড়কে এসব বাস ঠিক মতো চলাচল করতে পারে না। সড়ক চিকন হওয়ায় দুটি বিপরীত দিকের বাস একে অপরকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে ন। ফলে প্রতিনিয়তই তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে এ সড়কে।
যাত্রীরা জানান, নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে সময় কম লাগার কথা থাকলেও বর্তমান চিত্র ভিন্ন। নিজ নিজ স্থানে পৌঁছতে কমপক্ষে তিন ৪ ঘণ্টা দেরি হচ্ছে। এ সড়কে চলাচলকারী জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মকর্তাদের যানবাহনও যানজটে পড়ছে। সড়কে সরু হওয়ায় যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার মারাত্মক ঝুঁকিও রয়েছে।
সওজ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর নাওডোবা অ্যাপ্রোচ সড়ক হতে শরীয়তপুর জেলা শহরের ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত চার লেনের সংযোগ সড়ক হওয়ার কথা। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রেমতলা থেকে ৩৪ মিটার প্রস্তের দুই লেনের সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে সেটি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে শরীয়তপুর সওজ। সড়কটি নির্মাণ হলে জন ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে। তাই পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ থেকে শরীয়তপুর জেলা শহর পর্যন্ত সড়কটি দ্রুত ফোর লেনে রূপান্তরিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।