ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সিলেটে পাঁচ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ কারণে মঙ্গলবার ভোর থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এর আগে গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেটের ছয়টি রেজিস্ট্রার্ড সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়। এরপর সোমবার রাতে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের অনুরোধ জানায় প্রশাসন। তবে সে অনুরোধকে প্রত্যাখান করেন তারা।
মঙ্গলবার ভোর থেকে লাঠি হাতে বিভিন্ন সড়কে ঘোরাফেরা করছেন শ্রমিকরা। কোনও গণপরিবহন বা পণ্যবাহী গাড়ি চলতে দিচ্ছেন না। এতে শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীসহ সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। অনতিবিলম্বে আমাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে না নিলে কঠোর এই কর্মসূচি পালন ছাড়া আরও কোনও পথ খোলা থাকবে না।’
জানা গেছে, সিলেট বিভাগের সব পরিবহন শ্রমিক বেশ কিছুদিন ধরে পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালনসহ মিছিল-সভা করে আসছেন। তাদের দাবিগুলো হলো- সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার ও উপ-কমিশনারের (ট্রাফিক) অপসারণ, ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি ও রেকার বাণিজ্যসহ মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা বন্ধ, সিলেটে শ্রম আদালতের প্রতিনিধি শ্রমিক লীগের নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারকারী নাজমুল আলম রোমেনকে প্রত্যাহার, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, ভাঙাচোরা রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কার এবং নতুন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ ও বিক্রয়কৃত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া। এছাড়া অনুমোদনহীন গাড়ি যেমন: অটোবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ডাম্পিংকৃত গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের পথে হাঁটলেও শুধু আশ্বাসের মধ্যেই তাদের বার বার আটকে রাখে প্রশাসন। তাদের কোনও একটি দাবিও আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে তারা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। মঙ্গলবার সিলেট জেলায় এবং পর দিন থেকে পুরো বিভাগে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করবেন পরিবহন শ্রমিকরা।