১৮ বাসচালককে সাড়ে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর বাসভাড়া বাড়িয়ে সব রুটে বর্ধিত ভাড়ার তালিকা করে দিয়েছে সরকার। তবে রাজধানীতে চলাচল করা অধিকাংশ বাসে সেই তালিকা নেই। চালক ও সুপারভাইজাররা তালিকা না টাঙিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এসময় ১৮ বাসচালককে সাড়ে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর কলাবাগান পুলিশ বক্স সংলগ্ন সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক। শাহবাগের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. সঞ্জীব দাশ।

কলাবাগান ও শাহবাগে ডিএমপির দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৮টি বাসকে জরিমানা করেন ৪২ হাজার ৫০০ টাকা।

আজিমপুর-নিউমার্কেট হয়ে আসাদগেটগামী বাসগুলোকে থামানো হয় কলাবাগান সিগন্যালে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অন্তত ২৫টি গাড়ি থামিয়ে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কি না এবং গাড়িতে বর্ধিত ভাড়ার তালিকা টাঙানো আছে কিনা, তা চেক করেন। এসময় অধিকাংশ গাড়িতে ভাড়ার তালিকা পাওয়া যায়নি। বর্ধিত ভাড়া থেকেও বেশি ভাড়া নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এসব অভিযোগে কলাবাগানে আটটি গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসব মামলায় সাড়ে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এলাকায় নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় ১০টি বাসকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিভিন্ন বাসের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলাবাগানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছেন, তা জানার পর অনেক গাড়ি আজিমপুর থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তারা মিরপুর রোডে প্রবেশ করেনি। যেসব গাড়ি এ রুটে চলাচল করছে, তারাও যে বাড়তি ভাড়া নিয়েছিল, ম্যাজিস্ট্রেট দেখে ধরা পড়ার আগেই তা যাত্রীদের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছে।

ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক বলেন, গণপরিবহনের নৈরাজ্য ঠেকাতে ডিএমপি, বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা রাজধানীসহ সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি বলেন, কলাবাগানের যেসব গাড়ি থামানো হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই বর্ধিত ভাড়ার তালিকা পাওয়া যায়নি। তালিকা না থাকায় যাত্রীরা বুঝতে পারছেন না, কোনো জায়গা থেকে কোথায় ভাড়া কত? এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছেন চালক ও সুপারভাইজার। আমরা যেগুলোতে পেয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জরিমানা করেছি।