ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক : ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকে ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ঢাকাগামী গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকাগামী যাত্রীরা।
এদিকে ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বসেছে পুলিশের চেক পোস্ট।
ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী বাস টার্মিনাল মাসকান্দায় গিয়ে দেখা যায়, সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। এ সময় এনা বাসের টিকেট কাউন্টার বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এতে অনেক যাত্রী বাসায় ফিরে গেলেও কেউ কেউ বিকল্প উপায়ে ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার চর ঢাকিরকান্দি গ্রাম থেকে আসা জয়নাল নামে এক যাত্রী বলেন, আমরা পাঁচ জনের ধান কাটার শ্রমিক হিসাবে কাজ করার জন্য শরীয়তপুর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস না পাওয়ায় এখন আর যাওয়া হচ্ছে না। বাড়ি থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত আসতেই ২০০ টাকা খরচ হয়েছে। ফিরে যেতে আরও ২০০ টাকা লাগবে। ৪০০ টাকা অযথাই গেল।
মমিনুর রহমান প্লাবন নামে একজন বলেন, জরুরি কাজে ঢাকা যাওয়ার দরকার ছিল। ভোর ৫টায় এসে দেখি কোনো বাসই চলছে না। তাই বাধ্য হয়েই বাসায় ফিরে যেতে হল।
ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা বাস টার্মিনাল ও পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকার টার্মিনালের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ঢাকায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতার শঙ্কা থেকে বাস মালিক ও চালকরা শুক্রবার থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন, মালিক সমিতির নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও রাস্তায় বাস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। শনিবারও বন্ধ থাকতে পারে।
ময়মনসিংহ জিলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাস অগ্নিসংযোগসহ বাস ভাঙচুর হতে পারে চালক-মালিকরা এমন আশঙ্কা থেকে বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন। আমি সকালে দুটি টার্মিনাল ঘুরে বাস চালাতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু চালক-মালিকরা বাস চালাচ্ছেন না। তবে বিচ্ছিন্ন ভাবে দুই একটি বাস চলছে।
তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোণা ও জামালপুর থেকে প্রতিদিন অন্তত সাড়ে ৫০০ বাস চলাচল করে। তার সবই বন্ধ রয়েছে।