ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: রাজধানীর ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার থেকে ঢাকার বিভিন্ন গন্তব্যে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে ডেমরা থেকে অন্তত আটটি কোম্পানির ৮০০ বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া, নারায়ণগঞ্জের মদনপুর ও গাউছিয়া এলাকা থেকে যেসব বাস ডেমরা হয়ে ঢাকায় যাত্রী পরিবহন করে সেগুলোও বন্ধ আছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
পরিবহন মালিকরা জানান, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে অন্তত আটটি পরিবহন নগরের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী পরিবহন করে। এসব পরিবহনে ফেরদৌস ভূঁইয়া রুবেল নামে একজনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ করছেন তারা এবং চাঁদাবাজির প্রতিবাদে এই রুটে সব গণপরিবহন বন্ধ রেখেছেন। তারা বলছেন, ফেরদৌস ভূঁইয়া রুবেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
তবে পরিবহন মালিকদের আরেকটি পক্ষ জানায়, ওই রুটে আসমানী পরিবহনের নামে ফেরদৌস ভূঁইয়া রুবেলের কয়েকটি বাস চলে। এসব বাসের মালিকানা নিয়ে আসমানী পরিবহনের অন্য মালিকদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব রয়েছে। এখন আসমানীসহ অন্যান্য পরিবহনের মালিকরা সব এক হয়ে ফেরদৌস ভূঁইয়া রুবেলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তারই অংশ হিসেবে আজ সব গণপরিবহন বন্ধ রেখেছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার ঢাকার বিভিন্ন গন্তব্যে আটটি বাস কোম্পানি যাত্রী পরিবহন করে। এর মধ্যে অছিম পরিবহন ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে গাবতলী রুটে যাত্রী পরিবহন করে। একই রুটে রাজধানী পরিবহন চলাচল করে। রমজান পরিবহন ডেমরা থেকে মোহাম্মদপুর, আলিফ পরিবহন ডেমরা থেকে মিরপুর, আশিয়ান পরিবহন ডেমরা থেকে গুলিস্তান, রানীমহল পরিবহন ডেমরা থেকে গুলিস্তানে যাত্রী পরিবহন করে। একইভাবে গাউছিয়া এক্সপ্রেস কাউছিয়া থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার হয়ে গুলিস্তান, গ্লোরী পরিবহন গাউছিয়া থেকে ডেমরা হয়ে গুলিস্তান এবং আসমানী পরিবহন মদনপুর থেকে ডেমরা থেকে আব্দুল্লাহপুরে চলাচল করে।
আসমানী পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ফেরদৌস ভূঁইয়া রুবেল দীর্ঘদিন ধরে ডেমরায় গণপরিবহনে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। এর মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে তিনি আসমানী পরিবহনের সব বাস দখলের চেষ্টা চালান। এর প্রতিবাদে এই রুটে চলাচল করা সব বাস মালিক আজ গণপরিবহন বন্ধ রেখেছেন। তাকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত বাস বন্ধ থাকবে। যদিও বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ হচ্ছে।
তিনি বলেন, ফেরদৌস আহমেদ রুবেলের চাঁদাবাজির বিষয়টি ডেমরা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। চাঁদাবাজি বন্ধ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে ফেরদৌস ভূঁইয়া রুবেলের মুঠোফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, আমার জানামতে আসমানী পরিবহন নিয়ে ফেরদৌস ভূঁইয়া রুবেলের সঙ্গে অন্য মালিকদের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর প্রতিবাদে আসমানী পরিবহন আজ যাত্রী পরিবহন বন্ধ রেখেছে। তবে এ দ্বন্দ্ব নিজেরা মিটমাট করে ফেলবেন বলে তারা জানিয়েছেন। রুবেলের বিরুদ্ধে এখনো কেউ থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ করেননি।