ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চট্টগ্রামের জরাজীর্ণ বহুল আলোচিত কালুরঘাট সেতু। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) চালু করেছে ফেরি সার্ভিস। তবে জোয়ারের পানিতে ফেরি ও ওঠা-নামার বেইলি ব্রিজ ডুবে থাকায় দিনভর সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে যাত্রীবাহী যানবাহন ও জনসাধারণকে।
ফলে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন গাড়ির যন্ত্রাংশ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অফিস, কল কারখানাগামী কর্মজীবী মানুষের কাপড় চোপড়। নষ্ট হচ্ছে শ্রম ঘন্টা।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নদীর দুই পাড়ে শত শত গাড়ি ও মানুষ ফেরিতে পার হতে অপেক্ষায় রয়েছেন। দুটি ফেরি চালু থাকার কথা থাকলেও চলছে একটি ফেরি। জোয়ারের পানিতে বেইলী ব্রিজ ডুবে যাওয়ায় যানবাহন পারাপার হয়েছে ধীরগতিতে। দুই পাড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে হাজারো যাত্রীকে।
ফেরিতে দুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে শত শত নারী পুরুষকে পায়ে হেঁটে সেতু পারাপার হতে দেখা গেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, ০১ অগাস্ট (মঙ্গলবার) সকাল থেকে একটি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে কালুরঘাট সেতুর দক্ষিণ পাশ দিয়ে। তবে নদীতে জোয়ার থাকায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
পায়ে হেঁটে সেতু পার হতে গিয়ে সেতুর মাঝে শিশুকে নিয়ে বসে পড়েন এক নারী। তিনি বোয়ালখালী থেকে রাঙ্গুনিয়ার শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছিলেন। ফেরির বেইলী ব্রিজ পানিতে ডুবে যাওয়ায় শিশুকে নিয়ে ফেরিতে ওঠার সাহস পাননি। তাই ঝুঁকি থাকা সত্বেও কালুরঘাট সেতু হেঁটে পার হচ্ছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে এডভোকেট মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ফেরি দিয়ে নদী পার হতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।