ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ঈদ-উল-ফিতরের আগে-পরে তিন দিন করে ছয় দিন মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিবার ঈদকে কেন্দ্র করে যানজটের কারণে যাত্রীদের প্রচুর ভোগান্তি আমরা দেখতে পাই। তাই এ বছর ঈদের আগে তিন দিন এবং পরে তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান বন্ধ রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ঈদে ট্রাক-ভ্যান বন্ধ থাকলেও প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস মালামাল, ওষুধ জাতীয় পণ্য, জ্বালানি, সার জাতীয় পণ্যের গাড়িগুলো এর আওতামুক্ত থাকবে। অর্থাৎ বাকি সব বন্ধ থাকলেও এগুলো শুধু চলবে।
রাজধানী ঢাকায় চলাচল করা লক্কড়-ঝক্কড় গাড়িগুলো বাংলাদেশে উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যখন বিদেশিরা বাংলাদেশে আসে এবং আমাদের লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি দেখে, তখন আমাদের খুব লজ্জা হয়। এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। পরিবহন মালিকদের এদিকে নজর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ঢাকার বাইরে থেকে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ঢাকায় ঢোকে। আমি তো বলব বাইরে থেকে সিটিতে লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি কম আসে। বরং সিটিতেই অনেক লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ির কারখানা আছে। আমি সেগুলো নিজের চোখে গিয়ে দেখেছি। ঈদের আগে সেগুলোতে রং লাগাতে দেখেছি, যে রং আবার ১০ দিনও থাকে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা নিয়ে আমাদের দুর্ভাবনা চলছে। এ দুর্ভাবনার শেষ নেই। দুর্ঘটনার জন্য কে দায়ী এটি নিয়ে নানা বিষয় আসে। এখানে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, বেপোরোয়া চালনাও আছে। সবকিছু মিলিয়ে দুর্ঘটনা হচ্ছে। আমি সচিব সাহেবকে বার বার বলেছি, মূল বিষয়গুলোতে হাত দেওয়া দরকার। পদ্মা সেতু থেকে সরে যাওয়ার পর বিশ্ব ব্যাংকের কোনো প্রকল্প আমরা গ্রহণ করিনি। কিন্তু ইদানিং একটি প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি। রোড সেইফটি প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামটার বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। এই ব্যাপারে মনোযোগী হওয়ার জন্য আমি মন্ত্রণালয়কে বারবার বলেছি।
তিনি বলেন, থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল এখন সড়কের সবচেয়ে বড় উপদ্রপ। এই বিষয়ে একটি নীতিমালা করা দরকার। জাতীয় সড়কে আমরা মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করেছি। কিন্তু বাস্তবে এটি কার্যকর হচ্ছে না। আমাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে। হাইওয়ে পুলিশের যা জনবল আছে, তা যথেষ্ট নয়। এ দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না।