ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে সংস্কার কাজের জন্য দুই মাস পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। রোববার আঞ্চলিক সড়ক পরিবহন কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সওজ প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সদর উপজেলার বুড়িরহাট বাজারের একটি অংশ ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা সদরের একটি অংশ সংস্কারের জন্য ১৫ অগাস্ট থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সড়কটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে হালকা যানবাহন ও যাত্রীবাহী বাস বিকল্প রুট হিসেবে বুড়িরহাট-ডামুড্যা ও ডামুড্যা-নারায়ণপুর সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করতে পারবে।
শরীয়তপুর সওজ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩৫ কিলোমিটার। সড়কটিতে এক হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেনের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থান সোজা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারের পাশ দিয়ে সড়কটি সরিয়ে নেওয়া হবে। চার লেন প্রকল্পের বাইরে থাকায় সড়কের সদর উপজেলার বুড়িহাট বাজারের ৩০০ মিটার অংশ ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা সদরের ৭০০ মিটার অংশ সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই দুটি স্থানে এক কিলোমিটার সড়ক আরসিসি দিয়ে নির্মাণ করা হবে। ওই অংশের নির্মাণ কাজ চলার সময় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।
চাঁদপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন যানবাহন চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলাচল করে। বুড়িরহাট থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সদর পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়ক বন্ধ থাকবে। হালকা যানবাহন চালকদের ডামুড্যা উপজেলা সড়ক ব্যবহার করে নারায়ণপুর এলাকায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর সড়কে উঠতে হবে। ওই সড়কটির দৈর্ঘ্য অন্তত ১৪ কিলোমিটার। আর পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে ২ মাস। ট্রাকগুলো এসময় পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করবে।
শরীয়তপুর সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিশ্বাস শরীফুল ইসলাম বলেন, বুড়িরহাট বাজার ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার এক কিলোমিটার সড়কে বৃষ্টির পানি জমে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সেখানে সড়ক উঁচু করে আরসিসি ঢালাই দিয়ে সাড়ে ৫ মিটার প্রশস্ত করে সংস্কার করা হবে। দুই-এক দিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাওয়া অংশটিতে ঢালাইয়ের কাজ শুরু করবে। পরে চলাচলের উপযোগী হলে সড়কটি দিয়ে সব ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এ কারণে আপাতত এই সময়ে সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
শরীয়তপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান বলেন, চাঁদপুর-শরীয়তপুর সড়কের দুটি স্থানে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। ওই অংশটি চলমান চারলেন প্রকল্পের বাইরে থাকায় আলাদা ভাবে আরসিসি ঢালাই দিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। এ কারণে সেখানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হালকা যানবাহন চালকরা বিকল্প একটি এলজিইডির সড়ক ব্যবহার করতে পারবেন। আর ট্রাক চালকদের এ পথ পরিহার করে পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করতে হবে।