ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: কুড়িগ্রামের রমনা ঘাটের চিলমারী ও রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা নৌকায় পারাপার হতে পারলেও আটকা পড়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। বিপাকে পড়েছেন এ রুটে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকরা।
ভূরুঙ্গামারী থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকচালক মো. সোহেল মিয়া, বুড়িমারী থেকে আসা রবিউল ইসলাম, পঞ্চগড় থেকে আসা আকরাম হোসেনসহ অনেকে বলেন, শনিবার ঘাটে এসে রোববারও পার হতে পারিনি। হাতে টাকাও নেই কি করবো এখন।
বুড়িমারী থেকে ভূট্টা নিয়ে আসা কাজল মিয়া নামে এক চালক বলেন, ফেরি পার হওয়ার জন্য এ পথে এসে দুদিন ধরে অপেক্ষা করছি। এই দু’দিনে ভুট্টার দাম কেজি প্রতি এক টাকা কমে যাওয়া লোকসানের উপর লোকসান দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের নৌরুটে যোগাযোগ বাড়ানো ও চিলমারী নৌবন্দরের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরেয়ে আনতে ২০ সেপ্টেম্বর ফেরি চালু এবং বন্দরের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা সংকটের কারণ দেখিয়ে রমনা ঘাট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ফেরি ‘বেগম সুফিয়া কামালকে’। এছাড়াও চলাচল বন্ধ করা হয়েছে ‘কুঞ্জলতা’ নামে ফেরিটিও। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহী গাড়ির চালকসহ যাত্রীরা। তবে অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব ও গাফিলতির কারণে এক মাস নয় দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে গেছে ফেরি চলাচল।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাণিজ্য ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, নাব্যতা সংকট ও রৌমারী ফেরি ঘাট দেবে যাওয়ার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে নদে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি দুয়েকদিনের মধ্যে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চিলমারী নৌবন্দরের প্রধান চালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বেগম সুফিয়া কামাল’ নামের ফেরিটি বড় হওয়ায় চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছিল। এ কারণে ফেরিটি আরিচা ঘাটে পাঠানো হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের খনন কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে ফেরি বেগম সুফিয়া কামালের পরিবর্তে ‘কদম’ নামের আরেকটি ছোট ফেরি আরিচা ঘাট থেকে রওনা দিয়েছে। এদিকে রৌমারী ঘাটের পল্টুন দেবে যাওয়ায় আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।